অনেকের ধারণা, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের দুধ খাওয়া নিষেধ। এ ধারণা থেকে কেউ কেউ নিজেকে দুধ–চা খাওয়া থেকেও বিরত রাখেন। আসলে কি দুধ–চা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর?
চা আমাদের উপমহাদেশে খুব প্রচলিত পানীয়। আমাদের দেশে চায়ের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে খাওয়া বেশ জনপ্রিয়। দেশে অনেকে গরুর দুধের চা খান, আবার কেউ কেউ কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে খান, অনেকের পছন্দ আবার মিল্ক পাউডার মেশানো চা। এমনিতে দুধ একটি পুষ্টিকর খাবার, তবে সেটি খাঁটি দুধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। দুধ যখন প্রক্রিয়াজাত করা হয়, (যেমন মিল্ক পাউডার হিসেবে বা কনডেন্সড মিল্ক) তখন এটি তার পুষ্টিগুণ হারায়। আবার কনডেন্সড মিল্কে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, কিছু রাসায়নিক পদার্থও থাকে, যার কিছু ক্ষতিকর প্রভাব আছে। তাই মিল্ক পাউডার ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে দুধ–চা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের খাওয়া ঠিক নয়। এগুলো বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় এবং এমন কিছু উপাদান থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদ্রোগের রোগীদের পরিহার করাই শ্রেয়।
যেহেতু দুধ একটি পুষ্টিকর ও সুষম খাবার, তাই এটি যেকোনো ব্যক্তি গ্রহণ করতে পারে। অনেকে মনে করেন, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য দুধ ক্ষতিকর। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা; বরং দুধ নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত। সে বিবেচনায় কেউ যদি চায়ের সঙ্গে গরুর খাঁটি দুধ মিশিয়ে খান, সে ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে দুধ–চায়ের সঙ্গে অনেকে চিনি মিশিয়ে খান। চিনি যতটা পরিহার করা যায়, ততই মঙ্গল। চিনি ছাড়া দুধ–চা খাওয়ার অভ্যাস করা উত্তম। তবে উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কারও কিডনি রোগ, হাই কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস—এসব থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত দুধ–চা না খাওয়াই ভালো। দুধের যে ননি বা সর থাকে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের তা খাওয়া ঠিক নয়।
যেহেতু উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, সে ক্ষেত্রে দুধ–চাসহ যেকোনো খাবারই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে।
মন্তব্য করুন