রাজনীতি তাঁদের পেশা নয়। তাই স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-জনতা সেপ্টেম্বর থেকেই লেখাপড়ায়, নিজ পেশায় ফিরতে চাইছেন। আগস্টে থেমে যাওয়া নিত্যদিনের রুটিনে আবার সচল হতে চাইছে সমাজ। মন বসাতে চাইছে যার যার জীবনধারায়। সময় পেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুকে একপলক দেশের হালহকিকতও বুঝতে চাইছে। তবে সেখানে শান্তি ও স্বস্তির বার্তা কম। উল্টো মনে হয় গণ–অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মাঝে দূরত্ব তৈরির পরিকল্পিত চেষ্টা চলছে সেখানে। ব্যাপারগুলো অবজ্ঞা করার মতোও নয়।
‘৩৭ জুলাই’ থেকে এ রকম অপচেষ্টার শুরু। একের পর এক জ্বালানি জোগানো হচ্ছে গণ–অভ্যুত্থানপরবর্তী সমাজে কোলাহল ও কলহ বাড়াতে।
প্রথমে দাবিদাওয়া তুলে ধরতে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের হরেদরে ‘লীগ’ বলে আখ্যায়িত করা শুরু হয়। ফলে অনেক পেশার মানুষ নিজেদের দাবি নিয়ে চুপ হয়ে যেতে বাধ্য হন। দেখা গেল শ্রমিকদের ‘শিল্পবিরোধী’ জনগোষ্ঠী হিসেবে দেখানোর অপচেষ্টাও। অথচ তাদের কিছু ন্যায্য দাবি পরে ঠিকই মানা হলো। অন্য পেশাজীবীরা অতটা মরিয়া না বলে চুপচাপ বিষণ্ন হয়ে থাকছেন।
মন্তব্য করুন